মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

android apple
signal

June 4, 2025 9:26 AM

printer

SSC-র নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নিয়ম প্রকাশ এবং বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা দায়ের হয়েছে।

SSC-র নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নিয়ম প্রকাশ এবং বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা দায়ের হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, ৪৪ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি ও নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তা অবৈধ। আদালত মামলা দায়েরর অনুমতি দিয়েছে। আগামী ৫’ই জুন বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলার শুনানি।   

মামলাকারীর আইনজীবীর আদালতে জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ  প্রক্রিয়া করতে হবে ২০১৬ সালের বিধি মেনে এবং শুধুমাত্র ওই বছরের প্রার্থীদের মধ্যে থেকেই। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মানা হয়নি। বয়সের ছাড়ের বিষয়টিও নির্দেশ মেনে হয়নি বলে মামলাকারীর দাবি। কোনো প্রার্থী যদি একাধিক পরীক্ষায় বসে থাকেন,  তাহলে সবগুলোতেই  বয়েসের ছাড় পাবেন। কিন্তু নতুন বিজ্ঞপ্তিতে একবার মাত্র সুযোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এরকম একাধিক আপত্তির কথা জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে নিয়োগের নতুন বিধি এবং ৩০ মে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি।

রাজ্য সরকার নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চায় না বলে জানিয়েছেন বিজেপি-র বিধানসভার মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ।

একাধিক আইনি জটিলতার মুখে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের  নিয়োগ প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি যাওয়ার পর গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারীদের জন্য যথাক্রমে ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে আগেই মামলা দায়ের হয়। গতকালও ঐ বিষয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্ম অবকাশকালীন বেঞ্চে। মামলাকারী ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ভাতা দিলে তারাও এই ভাতা পাওয়ার অধিকারী।

তাদের বঞ্চিত করেই বেআইনীভাবে এরা চাকরি পেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এদের তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে কেন, এই প্রশ্নও তুলেছেন বঞ্চিতরা।

অন্যদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন নিয়োগ বিধি  ও নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও দায়ের হয়েছে মামলা। মামলা করেছেন ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। তাদের বক্তব্য সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিতে। স্কুলে পড়ানোর অভিজ্ঞতার জন্য যে অতিরিক্ত ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে তাতে বঞ্চিত হবেন চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর হ্রাস করা, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্যান্য দের পরীক্ষায় বসার সুযোগ কেন দেওয়া হবে। এছাড়া আরো একাধিক বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছে। 

বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামীকাল বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বেঞ্চে হবে এই সমস্ত মামলার শুনানি।

 

 

সবচেয়ে বেশি পঠিত

সব দেখুন