সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় প্রয়াত । বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। আজ দুপুর তিনটে নাগাদ একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছিলেন। আজই গড়িয়া শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। ১৯৩৪ সালে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫০ সালে ভারতে চলে আসেন ।প্রান্তিক মানুষের জীবন এবং জনগণের সংগ্রাম বরাবর তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। জনজীবনের সংগ্রামকে প্রত্যক্ষ করতে তিনি বেশ কিছুদিন নাগাল্যান্ডে আদিবাসীদের সঙ্গে বসবাস করেছিলেন। ১৯৫৬ তে সেখানে থাকাকালীন তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘পূর্ব পার্বতী ‘ প্রকাশিত হয়। বিহারের জনজীবনকে ভিত্তি করে ১৩ টি উপন্যাস ও ২০ টি গল্প লিখেছিলেন প্রফুল্ল রায়। শরণার্থী জীবনের ওপর ভিত্তি করে তাঁর উপন্যাস গুলি হলো ‘কেয়া পাতার নৌকো’ , ‘শতধারায় বয়ে যায়’ , ‘উত্তাল সময়ের ইতিকথা’ , ‘নোনা জল মিঠে মাটি’ । ২০০৩ এ ‘ক্রান্তিকাল’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান তিনি। ‘আকাশের নিচে মানুষ’র জন্য ১৯৮৫ তে ‘বঙ্কিম পুরস্কার ‘ পান। তাঁর অবলম্বনে বহু চলচ্চিত্র ,টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিকও নির্মিত হয়েছে।তার মধ্যে এখানে পিঞ্জর , বাঘবন্দী খেলা, ‘মোহনার দিকে’, ‘আদমি আউর আউরত’, ‘একান্ত আপন’, ‘চরাচর’, ‘টার্গেট’ , ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ , ‘ক্রান্তিকাল’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
Site Admin | June 19, 2025 9:01 PM
সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় প্রয়াত ।

প্রফুল্ল রায় বাংলা সাহিত্যিক নন তিনি ছিলেন প্যান ইন্ডিয়ান রাইটার বলেছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। তাঁকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রটি লেখককে দেখ খাতে না পারার আক্ষেপ গলায় নিয়ে পরিচালক আকাশবাণীকে বলেন,সাহিত্য জীবনের শুরুতেই তিনি গিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে। ওতপ্রোত জীবনযাপন করেছেন আদিবাসীদের সঙ্গে। এরপর আন্দামানের উদ্বাস্তু জীবনের কথক। বিহারে তাঁর সাহিত্য পর্বের একটি বড় অংশ যা বাংলা সাহিত্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি অসীম ভালোবাসা নিয়ে তিনি ছিলেন এক অসামান্য লেখক। তাঁর রচনা একটি সময়ের দলিল হয়ে থাকবে।
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় স্মৃতিচারণে বলেন,জীবনমুখী, ভ্রাম্যমাণ একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ ছিলেন প্রফুল্ল রায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়ের গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার পরিবার ও পার্থক্যের প্রতি তিনি সমবেদনা জানান