প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে আজ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এর আগে ২০১৯ এবং ২০১৬ সালে তিনি সেদেশ সফর গিয়েছিলেন। ভারতের সামুদ্রিক এই প্রতিবেশী , থাইল্যান্ড, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি দেশের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
যাত্রা শুরুর আগে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের উন্নয়ন, সংযোগ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রচারের জন্য বিমস্টেক একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম। জনস্বার্থে এই গোষ্ঠী ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। ভারত ও থাইল্যান্ডের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার বিষয় গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যাংককে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন। এর মূল ভাবনা হল “বিমস্টেক – সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক এবং উন্মুক্ত”। ব্যাংকক ভিশন ২০৩০ গৃহীত হবার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়েও অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর থাইল্যান্ডের রাজা ও রানীর সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি রয়েছে।
শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পর রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন দিনের সফরে যাবেন শ্রীলঙ্কায়। গত ডিসেম্বরে দায়িত্বভার গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি দিসানায়েকে তার প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে আসেন।
শ্রীলংকা ভারতের “প্রতিবেশী প্রথম” নীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।