আজ রথযাত্রা।
চিরাচরিত উৎসাহ ও উদ্দীপনায় দিনটি পালিত হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন জায়গায় এই উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
রাজ্য সরকারের মূল অনুষ্ঠানটি হবে দীঘায়। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের মাহেশের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা এ-বছর ৬২৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। পুরীর পরেই দেশের দ্বিতীয় এবং রাজ্যের প্রথম রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হয় মাহেশে।
অন্যদিকে, প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন হুগলীর গুপ্তিপাড়ার ‘বৃন্দাবন জিউ’র রথযাত্রা, আড়াইশো বছরেরও বেশি পুরনো পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ‘মদনগোপাল জিউ’র রথযাত্রা, বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্যের অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
কলকাতায় ইস্কনের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুজার্চনার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। দুপুর ১:০০ টায় কলকাতার এলবার্ট রোডের ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা র সূচনা হবে। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অস্থায়ী মাসির বাড়িতে পৌঁছবে।
নদীয়ার মায়াপুরে ইসকনের রাজাপুর জগন্নাথ মন্দির মন্দির থেকে দুপুর দুটোয় রথের রশিতে টান পড়বে। রাজাপুর থেকে তিনটি সুসজ্জিত রথ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের প্রধান কার্যালয় মায়াপুরে অস্থায়ী গুন্ডিচা মন্দির এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে ।
উত্তর কলকাতার বাগবাজার বলরাম মন্দিরে অন্যান্য বারের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবধারায় পালিত হবে রথযাত্রা উৎসব। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেব বলরাম মন্দিরের রথযাত্রায় গিয়েছিলেন। সেখানে একাধিকবার রথযাত্রার ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ রথের রশি টেনে ছিলেন।