৬৭ তম আকাশবাণী সঙ্গীত সম্মেলন আজ দিল্লি, কলকাতা এবং মুম্বাইতে শুরু হচ্ছে। এক মাস ব্যপি এই অনুষ্ঠানে দেশ এর ২৪টি শহর জুড়ে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আসরের আয়োজন করা হবে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যেগে প্রসার ভারতী সঙ্গীত সম্মেলনের আয়োজন করছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, ১৯৫৪ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে আকাশবাণী সঙ্গীত সম্মেলন ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও সম্মানিত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুস্তানি, কর্ণাটকি, লঘু ও লোকসঙ্গীতের শ্রেষ্ঠ ধারাগুলি শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বিগত কয়েক দশক ধরে এই সম্মেলন ভারতের সমৃদ্ধ সঙ্গীত ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ, প্রসার এবং জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
প্রসার ভারতীর মুখ্য কার্য্যনির্বাহী আধিকারিক সিইও গৌরব দ্বিবেদী জানিয়েছেন, কোভিড-অতিমারির কারণে সাময়িক বিরতির পর, আকাশবাণী সঙ্গীত সম্মেলন আবারও নবউদ্যমে ফিরে আসছে । ২০২৫ এর সংস্করণে প্রতিটি স্থানে দুটি করে সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে—একটি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জন্য এবং অপরটি লঘু ও লোকসঙ্গীতের জন্য।
পানাজি ও শিলং-এ শুধুমাত্র পশ্চিমী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে, যা ভারতের আঞ্চলিক সঙ্গীত বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে।