প্রত্যর্পণ এড়াতে ২০০৮ সালের ke শেষ আবেদন মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট খারিজ করে দেবার পর তাকে গতকাল দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বিমানবন্দরে NIA তদন্ত দল প্রয়োজনীয় সমস্ত আইনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পরপরই বিমান থেকে নামার পরেই শিকাগোতে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক রানাকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং গত রাতেই পাতিয়ালা হাউস আদালতে বিশেষ NIA বিচারকের সামনে হাজির করা হয়, সেই সময় এন আই এ তার ২০ দিনের হেফাজতের আবেদন করে। তবে, আদালত রানাকে জাতীয় তদন্ত সংস্থার ১৮ দিনের হেফাজতে পাঠায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় সংকল্পের কারণেই তাহাব্বুর রানাকে ভারতে আনা সম্ভব হয়েছে। তাঁর কঠোর শাস্তির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। কংগ্রেস সরকার জঙ্গীদের শাস্তির ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলেও তাঁর অভিযোগ।
তাহাব্বুর রানার প্রত্যাবর্তন মোদী সরকারের বড় ধরণের কূটনৈতিক সাফল্যবলে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উল্লেখ করেছেন। এবার তাঁকে ভারতীয় আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবিরোধী কাজকর্মের উপর কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে যারা ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের জেলা আদালত ১৬ই মে ২০২৩ তারিখে তাহাউরের প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। এরপর সে নবম সার্কিট কোর্ট অফ আপিল-এ একাধিক আবেদন জানায় যার সবকটিই খারিজ হয়ে যায়। এরপর মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে একটি জরুরি আবেদন দায়ের করলে তাও খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে প্রত্যর্পনের সাড়া মেলায় দুই দেশের মধ্যেপ্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মার্কিন বিচার বিভাগ, মার্কিন স্কাই মার্শালের সক্রিয় সহযোগিতায় NIA, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, NSG-র সঙ্গে এ ব্যাপারে একযোগে কাজ করেছে। আর সেই কারণেই বিদেশমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। রানার বিরুদ্ধে ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানি এবং লস্কর-ই-তৈয়বা ওহরকাত-উল-জিহাদি ইসলামীর সদস্যদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালাতে পাকিস্তান-ভিত্তিক অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গেও সে যোগাযোগ করেছিল। ঐ হামলায় মোট ১৬৬ জন নিহত এবং ২৩৮ জনেরও বেশি আহত হয়েছিলেন।
১৯৬৭ সালের বে-আইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের আওতায় ভারত সরকার, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হুজি উভয়কেই জঙ্গী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।