১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল সহ তিনটি বিল আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় পেশ করেছেন। কোনো প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি কিংবা গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকে এবং একটানা ৩০ দিন আইনি হেফাজতে থাকেন তাহলে তাঁকে অপসারণ করার সংস্থান রয়েছে সংবিধান সংশোধনী বিলে।
এছাড়াও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকার সংক্রান্ত সংশোধনী বিল-২০২৫ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন সংশোধনী বিল ২০২৫-ও আজ লোকসভায় পেশ করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন সংশোধনী আইন-২০১৯ -এর সংশোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনো মন্ত্রী যদি কোনো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণের সংস্থান রাখা হয়েছে নতুন বিলে। এতে বলা হয়েছে কোনো মন্ত্রী যদি একটানা ৩০ দিন আইনি হেফাজতে থাকেন তাহলে তাঁকে ঐ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। নতুন বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো মন্ত্রীকে টানা ৩০ দিন আটক রাখা হয় বা তাকে ৫ বছর বা তার বেশি সাজা দেওয়া হয় তাহলে আপনাআপনি তাঁর পদ চলে যাবে। কোনো মুখ্যমন্ত্রী যদি পদত্যাগ করতে নিমরাজি হন তাহলে ৩১ দিনের মাথায় তাঁর পদ থেকে তিনি সরে যেতে বাধ্য হবেন। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে আবার পূর্ব পদে ফিরিয়ে আনার সংস্থান এই বিলে রয়েছে।
কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং সমাজবাদী পার্টি এই বিলগুলির বিরোধীতা করে এগুলিকে অসাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে। এআইএমআইএম-এর আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, এই বিলগুলি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মূল নীতিকে এবং সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অধিকারকেই খর্ব করছে।
আরএসপি-র এন কে প্রেমাচন্দ্রন বলেন, বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে অস্থিতিশীল করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিল আনা হয়েছে।
কংগ্রেসের কে সি ভেনুগোপালও একইভাবে এই বিলের বিরোধিতা করেন।
সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, এই বিলে অসাংবিধানিক এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের বিরোধী।