শারদীয়া দুর্গোত্সবের আজ সপ্তমী।সকালে নবপত্রিকা স্নানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় দেবী দুর্গার আবাহন ও সপ্তমী বিহিত পূজা। বেলুড় মঠে সকাল থেকেই ভক্তদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বিকেল থেকেই শহরের রাস্তায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার নামি পুজোগুলির মন্ডপ ও আলোকসজ্জায় এবং নানান থিমের উপস্থাপনা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন। যানজট সামাল দিতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের। বাস, ট্রেন, মেট্রো ভিড়ে ঠাসা।
শহরে পুজো দেখতে সামিল হয়েছেন বিদেশীরাও। কালীঘাট মন্দির পরিদর্শনের পর বিখ্যাত পুজো মন্ডপগুলি পরিদর্শন করছেন তাঁরা। ইসকন – এর উদ্যোগে এই ভ্রমনের আয়োজন করা হয়েছে। ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস জানিয়েছেন, এর লক্ষ্য হল – বিদেশি পর্যটকদের সামনে বাংলার সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা।
জেলাগুলিতেও উত্সবের মেজাজ।প্রায় তিনশো বছরের ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে এবারও মহাসপ্তমীর উষা লগ্নে মালদার চাঁচোল রাজবাড়ির সিংহবাহিনী দেবী মাতাকে শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়পুর চন্ডী মন্ডপে। প্রথা মেনে চাঁদির পাখা ও সোনার ঝাড়ু সহকারে অষ্টধাতুর চতুর্ভুজা চন্ডীমাতাকে প্রতিষ্ঠিত করে শুরু হয় পুজোপাঠ।
হাওড়ার শিবপুরে ষষ্ঠীতলা বারোয়ারি দুর্গাপুজো এবার শতবর্ষে পদার্পন করেছে। এবছর মন্ডপ সজ্জার মূল ভাবনা উদযাপন।