আজ বিশ্বকর্মা পুজো। রাজ্য জুড়ে কলকারখানা সহ নানা প্রতিষ্ঠানে যন্ত্র তথা শিল্পের দেবতা বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুরাণ মতে বিশ্বকর্মাকে স্থাপত্য ও শিল্পের সৃষ্টিকর্তা দেবতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই চলছে আয়োজন। ভিড় বেড়েছে ফুল ও ফলের বাজারে। অফিস, কারখানা সহ বিভিন্ন জায়গার পুজো মণ্ডপগুলি আলোর মালায় সেজে উঠেছে।
ভাদ্র মাসের শেষ দিনে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর পাশাপাশি বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে ‘অরন্ধন’। গতকাল এর অঙ্গ হিসেবে আয়োজন করা হয় রান্না পুজোর। মূলতঃ মা মনসাকে উৎসর্গ করে সংক্রান্তির আগের দিন রাতভ’র চলে বিভিন্ন পদের আমিষ-নিরামিষ রান্না।
বাঁকুড়া সহ রাঢ় বঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আজ পালিত হচ্ছে ভাদু ভাসান। একমাস ধরে ভাদু গানে পুজোর পর আজ দেবী ভাদুকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই আকাশে ঘুড়ির মেলা। কচিকাঁচাদের পাশাপাশি বড়রা’ও ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দে সামিল হন।
বাংলার শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত নদীয়ার কল্যাণী, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর, আসানসোল সহ বিভিন্ন জায়গায় পুজোর উন্মাদনা তুঙ্গে।
রাজ্য সরকার, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এবার ছুটি ঘোষণা করেছে।
আকাশবাণী কলকাতার বিভিন্ন বিভাগের উদ্যোগেও চলছে পুজার্চনা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজ্যের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।