রাজ্যের হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এর মধ্যে রয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীদের পুলিশি যাচাই বাধ্যতামূলক করা, তাদের হাজিরা খাতা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন করা, কোন্ ওয়ার্ডে কাদের দায়িত্ব রয়েছে – সেই তালিকা রাখা, নিরাপত্তা কর্মীদের সচিত্র পরিচয় পত্র আবশ্যিক করা, চিকিত্সকদের ওপর হঠাত্ আক্রমণ হলে তা প্রতিহত করার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার মহড়া, সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বিক নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা এবং প্রয়োজনে আরও সংখ্যক সিসি ক্যামেরা বসানো।
ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট নিয়মিত স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাতে হবে। প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে হাসপাতালগুলিতে যে নিরাপত্তা পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, তা ঠিক মত কাজ করছে কিনা, হাসপাতালগুলিকে সেব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। চিকিত্সক, নার্স এবং হাসপাতাল কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকের যাতে কোনো অপব্যবহার না হয় সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্সক, রোগী সহ মহিলাদের ওপর নির্যাতনের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব মনোজ পান্থের ডাকা নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে সমস্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপাররাও ছাড়া ছিলেন সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনাররা।