রাজ্যসভাতে আজও অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও অধিবেশনের শুরুতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের হৈ-হট্টগোলের জেরে সভার কাজ সাময়িক ব্যাহত হয়। সভার শুরুতেই উপাধ্যক্ষ হরিবংশ শূন্যকালে আলোচনা শুরু করতে চাইলেও বিরোধীরা তাতে তুমুল বাধা দেন।
বিহারে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অবিলম্বে আলোচনার দাবিতে সরব হন তারা। উপাধ্যক্ষ সভায় জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে তিনি ১৮-টি মুলতুবি নোটিশ পেয়েছেন। কিন্তু নানান কারণে সেগুলি খারিজ হয়ে গেছে। পহেলগাঁ-এ সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রত্যুত্বরে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য ও ভারতের সুদৃঢ় অবস্হান নিয়ে রাজ্যসভায় এরপর আলোচনা শুরু হব বলেও তিনি জানান। কিন্তু সদস্যরা তার আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় বেলা ১২-টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়। ১২-টার পর অবশ্য সভার কাজ এবং অপারেশন সিন্দুর নিয়ে আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে বিদেশমন্ত্রী ডক্টর সুব্রমনীয়ম জয়শঙ্কর বলেছেন পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে মদতদান বন্ধ না করা পর্যন্ত সিন্ধু জলচুক্তি কার্যকর করা হবে না। রক্ত প্রবাহ ও জল স্রোত একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না বলে তিনি স্পষ্ট জানান।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে এই ধরনের চুক্তি খুবই অভিনব। কোন দেশ তার প্রধান নদীগুলির জল প্রতিবেশী দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীর ওপর অধিকার না রেখে এই ধরনের অনুমতি দিয়েছে, তা প্রায় বিরল। মানুষ আজকাল ইতিহাস ভুলে যেতে যায়, তাই তাদের নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই তার এই উদ্যোগ।
 
									 
		 
									 
									 
									