রাজভবনের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে আগামীকাল ভোর পাঁচটা থেকে রাজভবন নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে, তবে ১০০ জনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হবে না। তারা খুজে দেখতে পারেন রাজভবনের মধ্যে কোনো অস্ত্রশত্র লোকানো রয়েছে কিনা।
প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, রাজভবন থেকে অস্ত্রশস্ত্র বণ্টন করা হচ্ছে ।
রাজভবনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সাংসদের বক্তব্য যদি অসাড় ও ভিত্তিহীন বলে প্রমানিত হয় তাহলে তাঁকে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ঘৃণাভাষনের জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।
রাজভবন জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ সবসময় গোটা ভবনটিকে ঘিরে থাকে। এই অবস্থায় কি করে তারা অস্ত্রশস্ত্র ঢোকার অনুমোদন দিতে পারে তা অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল Z প্লাস স্তরের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা তাঁকে যতক্ষণ না এ নিয়ে তদন্ত শেষ হচ্ছে, ততক্ষন অন্যত্র থাকতে অনুরোধ করেছেন। তবে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাই হোক না কেন, তিনি রাজভবন ছেড়ে যাবেন না।
ইতিমধ্যেই রাজভবনের পক্ষ থেকে লোকসভার অধ্যক্ষকে ওই সাংসদের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।