উত্তরাখণ্ডে উত্তরকাশি জেলার সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পর হরশিল ও ধারালিতে ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চলেছে। জেলা প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থা, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিএ আনতে জোরদার প্রয়াস চালাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, ত্রাণের কাজ জোরদার করার জন্যে সব আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি সব সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ সম্পন্ন করতেও বলেছেন।
এদিকে হরশিলের ক্ষুদ্র জল বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে, পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্বাভাবিক হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবাও।
গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কের ওপর লিনচাগড়ে যেখানে সেতু ভেঙে পড়েছিল সেখানে একটি বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এরফলে দাবরানি পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ পরিষেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্হাও আবার চালু করা হয়েছে। ভাগীরথী নদীর ধারে সৃষ্ট একটি জলাশয় থেকে জল বের করার জন্য রাজ্য জলবিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকরা সেখানে গেছেন। ধ্বংসস্তুপে আরও কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা পুলিশ কুকুরের সাহায্যে তা তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এদিকে, বিভিন্ন জায়গায় ধ্বস নামায় বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক জাগায় জাগায় বন্ধ। ধ্বস সরিয়ে রাস্তা মেরামতির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, আবহাওয়াদফতর বাগেশ্বর, দেরাদুন, তেহেরি, পাওলি ও নৈনিতালে আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাষ দিয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী সাতদিন উত্তরাখন্ড ও হিমাচলপ্রদেশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আই এম ডি। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।