মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল তাঁদের সামরিক অভিযান আরও তীব্র করেছে। যার ফলে গাজা উপত্যকা, লেবানন এবং সিরিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় ৯০ জন নিহত এবং ২৭৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গাজার তেলআল-হাওয়া জেলার একটি বাড়িতে হামলার ফলে , একই পরিবারের ১৯ জন নিহত হন। উত্তরের শাতি শরণার্থী শিবিরে হামাসের একজন বিধায়ক সহ এক দম্পতি ও তাদের ছয় সন্তান নিহত হয়েছেন এবং তেল আল-হাওয়ায় বাস্তুচ্যুত পরিবারের একটি তাঁবুতেও চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে।যদিও ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর গাজার হামলাগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
অন্যদিকে, লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা উপত্যকায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
বালবেক-হেরমেল গভর্নর বলেছেন ওয়াদি ফারা এলাকায় হামলায় সাতজন সিরীয় এবং তিনজন লেবানিজ নিহত হয়েছেন, এবং শমুস্তারে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, হামলাগুলি হিজবুল্লাহর সামরিক কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল, যার মধ্যে হিজবুল্লার এলিট রাডওয়ান ফোর্সের প্রশিক্ষণ শিবিরও ছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ, হিজবুল্লাহ এবং লেবানিজ সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেছেন হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনের যেকোনো প্রচেষ্টাকে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আটকান হবে। হিজবুল্লাহ হামলাগুলির তীব্র নিন্দা করে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য লেবানিজ কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
অপরদিকে সিরিয়ার সুওয়াইদা শহরে ইজরায়েলি বিমান হামলায় সিরীয় বাহিনী আক্রান্ত হয়েছে। দ্রুজ মিলিশিয়া এবং সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সিরীয় সেনাবাহিনী সুওয়াইদায় প্রবেশের পরপরই এই হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন এই হামলা দ্রুজদের রক্ষা করার জন্য চালানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই প্রথম সিরীয় সরকারি সেনারা সুওয়াইদায় প্রবেশ করলো।