ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ডিজিএমও স্তরের বৈঠকে উভয় পক্ষই সীমান্তে এবং অগ্রবর্তী চৌকিগুলিতে সেনা হ্রাসের বিষয়ে সহমত হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গতকালের আলোচনায় দু-পক্ষই একটিও গুলি না চালানো বা কোন ধরনের আগ্রাসি বা শত্রুভাবাপণ্য পদক্ষেপ একে অপরের বিরুদ্ধে না করার দায়বদ্ধতা মেনে চলবে।
এর আগে নতুন দিল্লিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বিবরণে এয়ার মার্শাল A K ভারতী,বিস্তারিত তথ্য দিয়ে জানান,অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় সেনা, পাকিস্তানের নাগরিক পরিকাঠামো এবং সামরিক ঘাঁটি গুলির ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা চালিয়েছে।
লড়াই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এবং তাদের মদতদাতাদের পরিকাঠামো নষ্ট করার লক্ষ্যে। কোনোভাবেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়।
ডাইরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই বলেছেন, শত্রু পক্ষের আকাশ পথে আক্রমণের আশঙ্কায় অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ভারতের বহুস্তরীয় আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থাকে পাকিস্তান ভেদ করতে পারেনি। ডি জি এম ও, সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য বিএসএফ-এর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।
ডিরেক্টর জেনারেল ন্যাভাল অপারেশন, ভাইস অ্যাডমিরাল এম এ প্রমোদ বলেছেন, সমস্ত দিক থেকে আঘাত প্রতিরোধ করার শক্তি নৌবাহিনীর রয়েছে। ডি জি এন ও জানিয়েছেন, নৌবাহিনী সবসময়ে নজরদারি, তল্লাশি এবং চিহ্নিতকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আকাশপথের ওপরেও তারা তীব্র দৃষ্টি রেখেছে।