‘বন্দেমাতরম্’ রচনার দেড়শ বছর উপলক্ষ্যে লোকসভায় আজ বিশেষ আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশেষ আলোচনার সূত্রপাত করে বলেন, বন্দেমাতরম্ মন্ত্র, স্বাধীনতা আন্ডলনের সময় গোটা দেশকে উজ্জীবিত করেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা জুগিয়েছিল। বন্দে মাতরম্–এর শতবর্ষ পূর্তির সময় দেশে জরুরী অবস্থা চলছিল বলে তিনি জানান।
শ্রী মোদী আরো বলেন, বন্দেমাতরম্-এর দেড়শ বছর পূর্তির গৌরবের এই অধ্যায়কে পুনরুজ্জীবিত করার এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বন্দেমাতরম্ হল এমন এক শক্তি, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নকে সাকার করে তুলতে দেশবাসীকে উদ্ভুদ্ধ করেছে। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময়, জাতীয় স্ত্রোত্র বন্দেমাতরম্-এ গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেছেন, বন্দেমাতরম্ জাতীয় স্ত্রোত্র, ঔপনিবেশিক শাসনের মতো দুরূহ সময়ে ভারতকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে আশার আলো দেখিয়েছিল।
বিশেষ অধিবেশনের আগে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বন্দে মাতরম্ মন্ত্র, এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
রাজ্যসভার সাংসদ সুধা মূর্তি বলেন, বন্দেমাতরম্, দেশের সব প্রদেশকে এক করে রাখে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান বলেছেন, দেশের নবীন প্রজন্মের বন্দেমাতরম্-এর তাৎপর্য অনুধাবন করা উচিত। এই বিশেষ বিতর্ক, যুবাদের শোনা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।