ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনী-SIR প্রক্রিয়ায়, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের নাম অথবা কোনো যোগসূত্র থাকলেও, প্রযুক্তিগত কারণে BLO অ্যাপে সেই ম্যাপিং ধরা পড়েনি, সেইসব ভোটারকে শুনানিতে না-ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের তরফে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে পাঠানো নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের তালিকার পিডিএফ থেকে তথ্য রূপান্তরের সময় অসম্পূর্ণতার কারণে বহু ক্ষেত্রে যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। অথচ সংশ্লিষ্ট ভোটারদের ক্ষেত্রে নিজের নাম বা বংশগত যোগসূত্র স্পষ্টভাবে সেখানে নথিভুক্ত রয়েছে এবং তা সিইও দফতরের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত।
এমন ভোটারদের শুনানির নোটিস পাঠানো হবে না। ইতিমধ্যে সিস্টেম থেকে নোটিস তৈরি হয়ে থাকলেও, তা পাঠানোর জন্য ERO/AERO-র কাছে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে যদি কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়ে, অথবা অভিযোগ আসে, সে ক্ষেত্রে নোটিস দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ার প্রথম দিনের শুনানি পর্ব আজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তায় মোট ৩ হাজার ২৩৪ টি কেন্দ্রে, শুনানি শুরু হয়। প্রতিটি টেবিলে দৈনিক গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন ভোটারের শুনানি হবে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গেছে। যারা ২০০২-এর ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক দেখাতে পারেননি, তাদের আধার কার্ড সহ মোট ১২টি স্বীকৃত নথি পেশ করার সুযোগ রয়েছে। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এই শুনানি পর্ব শেষ হলে ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।
কলকাতা ও জেলাজুড়ে সকাল থেকেই শুনানি কেন্দ্রগুলিতে তৎপরতা চোখে পড়ে। খসড়া তালিকায় নাম না থাকা বহু মানুষকে প্রয়োজনীয় নথি হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়।