প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল তিন দেশ সফরের প্রথম পর্যায়ে, জর্ডন যাচ্ছেন। সেদেশের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা-বিন-আল-হোসেনের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বিপাক্ষিক সফর। ভারত ও জর্ডনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তিও হচ্ছে এবছর। নতুন দিল্লি এবং আম্মান-এর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সংযোগের আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারত ও জর্ডনের মধ্যে মজবুত অর্থনৈতিক বন্ধন রয়েছে। জর্ডনের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে ভারত ও সেদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। জর্ডন মূলতঃ ভারতে সার, ফসফেট এবং পটাশ সরবরাহ করে থাকে, যা ভারতের কৃষি ক্ষেত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে জর্ডন-ইন্ডিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানী গড়ে তোলা হয়েছে। ভারতের ইফকো এবং জর্ডন ফসফেট মাইন্স-এর যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা এই কোম্পানী, ভারতে ফসফরিক অ্যাসিডের রপ্তানি অক্ষুণ্ণ রাখবে। এছাড়া, ভারতের ১৫ টি পোষাক কোম্পানী জর্ডনে পোষাক রপ্তানি করে থাকে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এই কোম্পানীগুলি সেদেশে বিশেষ সুবিধা ভোগ করে থাকে।
ভারত ও জর্ডনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সেদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মণীশ চৌহান, দুদেশের মধ্যে মজবুত বানিজ্য সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
তিন দেশ সফরের পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ১৬’ই ডিসেম্বর ইথিওপিয়া যাবেন। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডক্টর আবি-আহমেদ-আলির সঙ্গে তাঁর একক ও প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে। সেখান থেকে সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ওমান যাবেন।