প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২দিনের ভুটান সফরে আজ সকালে রওনা দিয়েছেন। ভারত ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বিশেষ সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে ২ টি দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আদান প্রদানের জন্যে এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ভুটান সফরে রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তাঁর এই সফর ২ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করে তুলবে। উন্নতি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ২ দেশের উদ্যোগ ও মজবুত হবে এর ফলে।
ভারত ও ভুটানের মধ্যে যে মৈত্রী ও সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে, তার ভিত্তি পারস্পরিক শ্রদ্ধা , বিশ্বাস , বোঝাপড়া ও শুভেচ্ছার ওপরে বলেও শ্রী মোদী উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, সফরকালে শ্রী মোদী এবং ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক যৌথভাবে এক হাজার ২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পুনাৎসাংচু -র দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন। ভারত – ও ভুটান যৌথভাবে এই প্রকল্পটির রূপায়ন করেছে।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিঙ্গে ওয়াংচুকের সত্তরতম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে -র সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
শ্রী মোদী, থিম্পুতে বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসবে যোগ দেবেন। তাশিছোডজং -এ ভগবান বুদ্ধের পবিত্র দেহাবশেষে তিনি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারত থেকে পাঠানো ভগবান বুদ্ধের পবিত্র স্মৃতি চিহ্নকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাগত জানানোর জন্য ভুটানের জনগণ এবং নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় তিনি বলেছেন যে এই স্মৃতি চিহ্ন শান্তি, করুণা এবং সম্প্রীতির চিরন্তন বার্তার প্রতীক। তিনি আরও বলেন যে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা ভারত এবং ভুটানের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের মধ্যে একটি পবিত্র সংযোগ।
এদিকে, ভুটানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সন্দীপ আরজ আকাশবাণীকে জানিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন থিম্পুতে বিশ্ব শান্তি প্রার্থনা উৎসব হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক বিষয়গুলির ওপরও দুপক্ষের মতবিনিময় হবে।