মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

android apple
signal

August 29, 2025 9:56 PM

printer

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পঞ্চদশ ভারত-জাপান বার্ষিক শিখর সম্মেলনে যোগ দেন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ভারত ও জাপানের অংশীদারিত্ব, বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিস্থিলতার জন্য অত্যন্ত জরুরী। তিনি আজ টোকিও-এ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইষিবার সঙ্গে পঞ্চদশ ভারত-জাপান বার্ষিক শিখর সম্মেলনে যোগদানের পর এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান।

সম্মেলনে উভয় নেতা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত দিক পর্যালোচনার পাশাপাশি, বিশেষ কৌশলগত সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পন্থা-পদ্ধতি খতিয়ে দেখেন। সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রী মোদী  বলেন, জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আজকের আলোচনা, অত্যন্ত সদর্থক ও ইতিবাচক ছিল। আগামী দশকের জন্য একটি রোড ম্যাপ’ও তাঁরা প্রস্তুত করেছেন। বিনিয়োগ, অদ্ভাবন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, পরিবেশ, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, মানুষে মানুষে সংযোগের মতো বিষয়, ছিল তাঁদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জাপানের প্রযুক্তি এবং ভারতের প্রতিভার মেলবন্ধন, এক সফল অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন।                

অন্যদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ভারত তার উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে, গোটা বিশ্বের রূপান্তর ঘটিয়েছে। ভারত ও জাপানের পারস্পরিক সম্পর্ক, দু’দেশের পক্ষেই সমান উপযোগী বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এই উপলক্ষ্যে ভারত ও জাপান, বেশ কয়েকটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করে।

এর আগে শ্রী মোদী, জাপানী পার্লামেন্টের স্পিকার ফুকুশিরো নুকাদা এবং সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় শ্রী মোদী বলেন, ভারত ও জাপানের মধ্যে সুদৃঢ় মৈত্রীর সম্পর্ক, মানব সম্পদ উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, এআই, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে তাঁরা আলাপ আলোচনা করেছেন।

জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইয়োসোহি হিদেসুগা এবং ফুমিও কিশিদাও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে টোকিও-য় ভারত–জাপান অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে যোগ দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, গোটা বিশ্ব আজ শুধু ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই, যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্ভ্রমের আসনে বসিয়েছে ভারতকে। ভারতের এই বিকাশের যাত্রাপথে জাপান বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারের ভূমিকা গ্রহণ করেছে। অচিরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি দৃ়ঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।