প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতি বছর ৫০টি রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষে দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র এবং স্টার্টাপগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার রূপায়ণের জন্য সরকারের ইচ্ছাশক্তি রয়েছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে গতকাল তাঁর ভিডিও বার্তায় শ্রী মোদী বলেন, মহাকাশ ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি সাধারণ নাগরিকদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। মহাকাশ প্রযুক্তি শুধু বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের হাতিয়ার নয়, এটি জীবনযাত্রা সহজতর করার উপায় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। মহাকাশ প্রযুক্তি কিভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠছে, তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী উপগ্রহ ভিত্তিক মূল্যায়ন মৎস্যজীবীদের জন্য সুরক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা এবং প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যানে ভূস্তানিক তথ্য ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ভারত সেমি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এবং বৈদ্যুতিক প্রপালসানের মতো যুগান্তকারী প্রযুক্তিতে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। গগনযান মিশন শীঘ্রই চালু করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে ভারত নিজস্ব স্টেশন তৈরি করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বেসরকারি ক্ষেত্রের তৈরি প্রথম পি এস এল ভি রকেট শীঘ্রই উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারী, বে-সরকারী অংশিদারিত্বের মাধ্যমে একটি ভূ-পর্যবেক্ষণকারী কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছে। ২ বছর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছনোর প্রথম দেশ হিসেবে ভারতের ইতিহাস সৃষ্টির কথা স্মরণ করে শ্রী মোদী বলেন, মহাকাশে ডকিং-আনডকিং ক্ষমতা অর্জনকারী বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপটেন শুভাংশু শুক্লার জাতীয় পতাকা উত্তোলন প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করেছিল বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।