প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ কলকাতায় তিনটি নতুন মেট্রো রেল পথের সূচনা সহ ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন। যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে তিনি ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটে শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা, গড়িয়া–বিমানবন্দর মেট্রো রুটে বেলেঘাটা থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ বিমানবন্দরের মধ্যে সংযোগকারী নতুন রেলপথের সূচনা করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যরা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর আজ সন্ধ্যে ৬ টায় হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে।
তবে বাণিজ্যিকভাবে আগামী সোমবার অরেঞ্জ লাইনে কবি সুভাষ থেকে বেলেঘাটা এবং ইয়েলো লাইনে নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে।
আজ বিকেলে বিহার সফর শেষে তিনি দমদম বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রাজ্যের পক্ষ থেকে বিমান বন্দরে উপস্থিতি ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং মন্ত্রিসভার সদস্য জ্যোৎস্না মান্ডি। প্রধানমন্ত্রী যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত ও ফিরতি পথে জয় হিন্দ বিমান বন্দর থেকে যশোর রোড পর্যন্ত মেট্রো পথে সফর করেন। পরে তিনি যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে সড়ক পথে দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠ পর্যন্ত আসেন। সেখানে সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি রাজ্য বিজেপির বিজয় সঙ্কল্প সভাতেও ভাষণ দেন। এই সভা মঞ্চ থেকে তিনি রাজ্য সরকার তথা রাজ্যের শাসক দলকে কড়া বার্তা দিয়েছেন। এ সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধির একটি প্রতিবেদন।
নিজেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সৈনিক বলে বর্ণনা করে শ্রী মোদি এদিন বলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, গোষ্ঠ পাল, হরিনাথ দে-র বাংলা পুনর্জাগরিত হবে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রী মোদি তাঁর অসীম শ্রদ্ধার কথা তুলে ধরে বলেন, কেন্দ্রের হাত ধরেই বাংলা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। এটা তাঁর কাছে সৌভাগ্যের বিষয়।
এই সভায় ভাষণ দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ।