প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল ৭৯-তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে নেতৃত্ব দেবেন। দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্রাকার থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। সরকারের বিকশিত ভারত ২০৪৭ দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এবারের স্বাধীনতা দিবসের মূল ভাবনা নয়া ভারত। সমৃদ্ধ, নিরাপদ ও সাহসী নতুন ভারতের উত্থানকে স্মরণ করে এই ভাবনা দেশের অগ্রগতির পথে নতুন উদ্যম যোগাবে।
এবছর স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গ হিসেবে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যকে উদযাপন করা হবে। আমন্ত্রণ পত্রে থাকছে অপারেশন সিন্দুরের লোগো এবং চন্দ্রভাগা সেতুর ওয়াটার মার্ক। প্রায় পাঁচ হাজার বিশেষ অতিথিকে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন, ২০২৫-এর স্পেশাল অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় দল, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ী এবং খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসের স্বর্ণপদক জয়ীরা।
তিন বাহিনী, ভারতীয় কোস্টগার্ড, এন সি সি, সি আর পি এফ, আই টি বি পি, সিআইএসএফ, অসম রাইফেলসের ব্যান্ড – দেশের ১৪০-টিরও বেশি স্থানে এই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করবে।
এদিকে, আগামীকাল নতুন দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন ২৮টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২১০ জন পঞ্চায়েত স্তরের নেতা। এই বছরের বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় মহিলা নেত্রী রয়েছেন যারা তাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নত পরিকাঠামো, জনসেবা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নজরকাড়া সাফল্য এনেছেন।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, এই বিশেষ অতিথিদের জন্য আজ নতুন দিল্লিতে একটি আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।