প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ জাতির উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশন সিন্দুর শুধু একটি নাম নয়, এটি দেশবাসীর যৌথ আবেগ ও ক্ষমতার প্রতীক। তিনি অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের জন্য সেনা, গোয়েন্দাবাহিনী ও বি়ঞ্জানীদের কুর্নিশ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আক্রমণের মুখে পাকিস্তান গোটা বিশ্বে সাহায্য চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ডিজিএমও-কে টেলিফোন করে।ইতোমধ্যে ভারত তাদের আতঙ্কবাদী ডেরাগুলিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। শুধু তাই নয়, তাদের যাবতীয় পরিকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সুতরাং পাকিস্তান যখন জানাল এর পর থেকে তারা আর সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে মদত দেবে না এবং সশস্ত্র হামলা চালাবে না,কেবলমাত্র তখনই ভারত তাদের নিবেদনে সাড়া দিয়েছে। শ্রী মোদী জানান, অপারেশন সিন্দুর এখন সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।তবে সেনা,নৌ-বহর ও বিমান বাহিনী পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছে। আগামীদিনে পাকিস্তান কী ভূমিকা নেয়, সেদিকে নজর রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এই অভিযান আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে দেশের নয়া অবস্থানের পরিচায়ক। এভাবেই ভারত তার নিজের মতো করে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে।শ্রী মোদী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারত সন্ত্রাস দমনের ব্যাপারে নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলকে একেবারেই গ্রাহ্য করবে না।সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসবাদে মদতদাতাদের আর আলাদা করে দেখা হবে না।তিনি সেনাবাহিনী যৌথ সাফল্যের সমস্ত কৃতিত্ব দেশের প্রতিটি মা-বোন ও কন্যার প্রতি উৎসর্গ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, পৃথিবীর প্রতিটি আতঙ্কবাদী হামলার পিছনে বাহওয়ালপুর ও মুরিদকের ভূমিকা রয়েছে। এই কুখ্যাত জায়গাগুলি সন্ত্রাসবাদের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত।
ভারতে নির্মিত আকাশযুদ্ধ প্রতিরোধ ইউনিট ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেই অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এবার থেকে ভারতের ঘোষিত নীতি হল ,পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হলে তা পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং আতঙ্কবাদ নিয়েই হবে।
তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং বাণিজ্য একই সঙ্গে চলতে পারে না। তেমনই নদীর জল এবং রক্তও কখনও একই খাতে বইবে না। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান যদি আতঙ্কবাদীদের ফের মদত দেয় তাহলে একদিন তারা তাদের গোটা দেশকেই ধ্বংস করে দেবে।