প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ রাজস্থান সফরে যাচ্ছেন। বিকানেরে পৌঁছে তিনি দেশনোকে করনি মাতার মন্দির দর্শন করবেন। নতুন রূপে সজ্জিত দেশনোক স্টেশনের উদ্বোধন করবেন এবং বিকানের-মুম্বাই এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রার সূচনা করবেন। এরপর পালানায় ২৬,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করবেন তিনি। সেখানে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কর্মসূচিও তাঁর রয়েছে।
দেশের রেল পরিকাঠামোর ক্রমোন্নয়নের যে সংকল্প প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে শ্রী মোদী দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৬টি জেলায় ১০৩টি নবরূপে সজ্জিত অমৃত স্টেশনের উদ্বোধন করবেন। এগুলির জন্য ১,১০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যায় হয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় ১,৩০০-র বেশি স্টেশনের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। স্টেশনগুলিতে আঞ্চলিক স্থাপত্যের ছাপ যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি জোর দেওয়া হয়েছে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির ওপর। করনি মাতার মন্দির দেখতে বহু তীর্থযাত্রী ও পর্যটক দেশনোক রেল স্টেশনে আসেন। স্টেশনটিকে মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে। তেলেঙ্গানার বেগমপেট রেল স্টেশন গড়ে উঠেছে কাকাতীয় স্থাপত্যের অনুকরণে। বিহারের থাওয়ে স্টেশনে ৫২টি শক্তিপীঠের অন্যতম মা থাওয়েওয়ালির ম্যুরাল ও মধুবনী চিত্রকলার নিদর্শন রয়েছে। গুজরাটের ডাকোর স্টেশন গড়ে উঠেছে রাঞ্চোর রাইজি মহারাজের আদর্শে। দেশ জুড়ে নতুন করে গড়ে তোলা এই অমৃত স্টেশনগুলিতে আধুনিক পরিকাঠামোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের মেলবন্ধন ঘটেছে। ভিন্ন ভাবে সক্ষমদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে স্টেশনগুলিতে। যাত্রীদের ভ্রমণকে আরও আনন্দের করে তুলতে যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রেল যাত্রাকে আরও মসৃণ ও পরিবেশবান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে ভারতীয় রেল ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণের দিকে এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চুরু-সাদুইপুর রেললাইনের (৫৮ কিলোমিটার) শিলান্যাস করবেন। জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন সুরতগড়-ফালোদি (৩৩৬ কিলোমিটার), ফুলেরা-দেগানা (১০৯ কিলোমিটার), উদয়পুর-হিম্মতনগর (২১০কিলোমিটার), ফালোদি-জয়সলমীর (১৫৭ কিলোমিটার) এবং সামদারি-বারমের (১২৯ কিলোমিটার) রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ।