পাঞ্জাবে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা জলে রাভি, বিপাশা এবং শতদ্রু নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়া এবং রাজ্যের কিছু অংশে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে মানুষের দুর্দশা আরও বেড়েছে। ভারতীয় সেনা, বিমানবাহিনী, বিএসএফ, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, পাঞ্জাব পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার এবং ত্রান পৌঁছে দেবার কাজ চালাচ্ছে।
এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর পাঞ্জাবের কিছু এলাকায় আগামী দুই দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।
হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত। রাজ্যের তিনটি জাতীয় সড়ক সহ মোট ৮৪২টি রাস্তা, ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। চম্বা জেলায় ভারী বৃষ্টি এবং ভূমিধসের কারণে প্রায় ৬,০০০ জন আটকে পড়া পুন্যার্থীকে প্রশাসন উদ্ধার করেছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ভারমুর এলাকায় প্রায় ৫,০০০ যাত্রী এবং চম্বায় প্রায় ৫০০ জন এখনও আটকে আছেন, যাদের অধিকাংশই জম্মু ও কাশ্মীর এবং আশেপাশের অঞ্চল থেকে এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু আজ ভারমুর এলাকার পরিস্থিতি আকাশপথে পরিদর্শন করেন।