মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

android apple
signal

July 28, 2025 10:36 PM

printer

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে অপারেশন সিন্দুর অভিযান নিয়ে লোকসভায় আজ আলোচনা হয়।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে অপারেশন সিন্দুর অভিযান নিয়ে লোকসভায় আজ আলোচনা হয়। আলোচনার সূচনা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে সরকার পাকিস্তানকে করা বার্তা দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা একই সঙ্গে চলতে পারে না। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর ঘৃণ্য আক্রমনের জবাবে ভারতীয় সেনা ৯ টি জঙ্গী ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে। মারা পড়েছে শতাধিক জঙ্গী। শ্রী সিং বলেন, ভারতের জবাব ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং পাকিস্তানের জঙ্গীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করাই ছিল এই অভিযানের একমাত্র লক্ষ্য।

অপারেশন সিন্দুরে ভারতীয় সশস্ত্র সেনার প্রশংসা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, S 400 এবং আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ পাকিস্তানের হামলা উপযুক্ত ভাবে প্রতিহত করেছে। প্রতিবেশী দেশের হামলায় ভারতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির ঘোষনা চাপের মুখে করা হয়েছে বলে যে দাবী বিভিন্ন পক্ষ থেকে করা হচ্ছিল তা স্পষ্ট খারিজ করে দেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের DGMO ভারতের DGMOর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সেনা অভিযান বন্ধ রাখার আবেদন জানান। চলতি বছরের ১২ই মে দু দেশের DGMOদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে দুই পক্ষয় সেনা অভিযান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী দিনে পাকিস্তানের দিক থেকে কোনোরকম উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয় তাহলে অপারেশন সিন্দুর পুনরায় চালু হবে বলে সে দেশকে সতর্ক করে দেন তিনি।

জঙ্গী কার্যকলাপে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করে শ্রী সিং বলেন, ওই দেশ সন্ত্রাসবাদকে বিদেশনীতির অঙ্গ করে তুলেছে। পাকিস্তান বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানী সেনা এবং ISI সন্ত্রাসুবাদকে ছায়াযুদ্ধ হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে। জঙ্গী কার্যকলাপের মোকাবিলায় ভারত যে কোনো পর্যায়ে যেতে পারে বলেও শ্রী সিং সভায় জানান।

আলচনায় অংশ নিয়ে বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর বলেন, পহেলগাঁও হামলার প্র ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট, কড়া এবং যোগ্য জবাব দেওয়ার দরকার হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ সময়ের ধরে পাকিস্তান যে সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে তার কথা বিশ্বস্তরে তুলে ধরতে ভারত সবরকম চেষ্টা চালিয়েছে। তিনি বলেন, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকারকারী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে ঘোষনা করেছে তা ভারত সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ১৯৩ জন সদস্য দেশের মধ্যে পাকিস্তান বাদে মাত্র তিনটি দেশ অপারশন সিন্দুরের বিরোধিতা করেছে। দেশের স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করার অধিকার ভারতের রয়েছে। ২২শে এপ্রিল থেকে ১৭ই জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ফোনালাপ হয়নি বলেও শ্রী জয়শঙ্কর জানান।

কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ জম্মু কাশ্মীরে নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সরকার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গীদের গতিবিধি চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে পাকিস্তানকে যে অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তাতে ভারতীয় কূটনীতির ব্যররথতা প্রমাণিত হয়েছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজবাদী পার্টির সদস্য রামশঙ্কর রাজবর বলেন, পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীরা আজও পলাতক। জম্মু কাশ্মীরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এদিকে্,‌ বিরোধীরা কেন সশস্ত্র সেনার প্রশংসা করছেন না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং প্রশ্ন তোলেন। সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা এবং দেশীয় প্রযুক্তির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ ব্যানার্জী, টিডিপির লাভু শ্রী কৃষ্ণ, YSRCPর YS অবিনাশ রেড্ডি, কংগ্রেসের দীপেন্দর সিং হুডা, বিজেপির তেজস্বী সূর্য এবং অনুরাগ সিং ঠাকুর, NCPSPর সুপ্রিয়া সুলে আলোচনায় যোগ দেন। সভায় আলোচনা এখনো চলছে।

সবচেয়ে বেশি পঠিত

সব দেখুন

কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।