দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটির আজ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। ক্রমে তা পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে অন্ধ্র উপকূলের মছলিপওনম ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এর প্রভাবে আগামীকাল থেকে রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু-এক জায়গায় অতিভারি বৃষ্টি এবং কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া ও বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সকাল থেকেই জেলার উপকূল থানাগুলির পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং। সমুদ্রে থাকা সব মৎস্যজীবী ট্রলারকে আগামীকাল সন্ধ্যের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি দপ্তর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা ও ব্লক স্তরে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রতিটি ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।