থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে সংঘর্ষের জেরে অন্ততপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এই সংঘর্ষ শুরু হওয়ার জন্য উভয় দেশ একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী কাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডের ওপর গোলাগুলি বর্ষণ করার পাশাপাশি রকেট হামলা চালায়। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী F-16 জেট নিয়ে বিমান হানা চালিয়েছে। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে আট বছরের এক শিশুসহ অন্তত ১১ জন অসামরিক নাগরিক এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।
উভয়পক্ষের মধ্যে আজ সকালে গুলি গুলি বিনিময় শুরু হয়।
থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, কাম্বোডিয়া অতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ করায় থাইল্যান্ডের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
দু’দেশের শতাব্দী প্রাচীন সীমান্ত সমস্যা ২০০৮ সালে আবার প্রকাশ্যে আসে যখন কম্বোডিয়া তাদের একাদশ শতাব্দীর একটি মন্দিরকে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের স্থল হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়। তারপর থেকে উভয় দেশ বাণিজ্য এবং সীমান্ত নিয়ে একের অপরের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যার ফলে এক দশক যাবত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছোয়।