জীবন বীমা ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবীমার ক্ষেত্রে জিএসটি ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন দিল্লিতে গতকাল জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান ৩৩টি জীবনদায়ী ওষুধের ওপর জিএসটি মকুব করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যান্সার এবং বিরল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ৩টি জীবনদায়ী ওষুধের জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সব ধরনের ওষুধের ওপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৫ শতাংশ হয়েছে।
নতুন পণ্য ও পরিষেবা কর হারে কৃষক এবং কৃষি ক্ষেত্র উপকৃত হবে বলে সীতারামন জানান। তিনি বলেন, ট্রাক্টর, চাষের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র, জৈব কীটনাশকের ক্ষেত্রে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে ৫ শতাংশ।
একইসঙ্গে নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক পণ্যের ওপর জিএসটি ১৮ বা ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। তেল, সাবান, শ্যাম্পু, টুথ পেস্ট, টুথ ব্রাশ, সাইকেল, গৃহস্থালির বিভিন্ন জিনিসপত্রের ওপর এখন মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। উচ্চ তাপমাত্রায় সংরক্ষিত দুধ, ছানা, পনির, পাউরুটির ওপর কোনো জিএসটি থাকছেনা। নোনতা জাতীয় খাবার, গুজিয়া, সস, পাস্তা, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চকলেট, কফি, কনফ্লেক্স, মাখন, ঘি ইত্যাদি ক্ষেত্রে জিএসটি ১২ ও ১৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এসি, ৩২ ইঞ্চি থেকে বড় টেলিভিশন, ছোট গাড়ি, মোটর
সাইকেলের ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর ২৮ থেকে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংরঞ্জামের ক্ষেত্রেও জিএসটি ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
পান মশলা, গুটখা, তামাকজাত পণ্য, সিগারেট, ইত্যাদি ক্ষেত্রে জিএসটি কমছেনা।
বৈঠকে জিএসটি কাউন্সিল ৫ ও ১৮ শতাংশ এই দুটি হারে পণ্য ও পরিষেবা কর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২২ তারিখ নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে জিএসটির নতুন এই হার কার্যকর হবে। বৈঠকে শ্রীমতি সীতারমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কারের যে ধারণা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দিয়েছিলেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সুবিধার্থে জিএসটি-র নতুন এই হার ধার্য হয়েছে।