জিএসটি পরিষদের ৫৬তম বৈঠক আজ নতুন দিল্লীতে চলেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দুদিনের এই বৈঠকের পৌরোহিত্য করছেন। ভারতের ভবিষ্যৎ পণ্য পরিষেবা কর সংস্কার, কর হারের সরলীকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী,দিল্লি, গোয়া, হরিয়ানা,জম্মু কাশ্মীর, মেঘালয় এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানারউপ মুখ্যমন্ত্রী, মণিপুরের রাজ্যপাল এবংবিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরাও এতে উপস্থিত রয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী পায়াভুলা কেশব বলেছেন, তাঁর দল কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জিএসটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের পক্ষপাতি। এই সব সংস্কারের অধিকাংশই সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর মানুষকে সাহায্য করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পণ্য ও পরিষেবা কর কীভাবে দেশকে উপকৃত করেছে তার ওপরআলোকপাত করেন। সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত শ্রেণী এবং এমএসএমই ক্ষেত্রকে স্বস্তি দিতে শ্রী মোদী, জিএসটি-র আওতায় পরবর্তীপ্রজন্মের সংস্কারের গুরুত্বের উপর জোর দেন। দীপাবলিতে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির উপর করহ্রাস করে পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কারের সূচনা করা হবে। এর ফলে স্থানীয় বিক্রেতা এবংক্রেতাদের খানিকটা সুরাহা মিলবে।(বাইট- মোদী- জি এস টি)আত্মনির্ভর ভারত গড়তে কেন্দ্রীয় সরকার গত মাসে বৈঠকে জিএসটিতে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। পরিকাঠামোগত সংস্কার, করহারের সরলীকরণ এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন মূলক এই তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এইসংস্কার হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক পণ্য পরিষেবা কর জিএসটি-কে সহজ, সরল, স্থিতিশীল, স্বচ্ছ এবং সুসংহত গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে।