December 9, 2025 8:57 PM

printer

জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’ দেশপ্রেম ত্যাগ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করেছিল বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেছেন

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’ দেশপ্রেম, ত্যাগ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করেছিল। রাজ্যসভায় আজ বন্দেমাতরমের ১৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনার সূচনা করে তিনি বলেন, এই অমর সৃষ্টি মাতৃভূমির প্রতি কর্তব্য ও ভক্তির অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যেমন বন্দে মাতরম প্রাসঙ্গিক ছিল তেমনি বর্তমান সময় এমনকি ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতেও এটি সমান প্রাসঙ্গিক থাকবে। শ্রী শাহ আরও বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিটি সভা বন্দে মাতরম গেয়ে শুরু হতো এবং আজও সীমান্তে সাহসী সৈনিকরা সর্বোচ্চ ত্যাগের সময় বন্দে মাতরম উচ্চারণ করেন।

শ্রী শাহ বলেছেন, ‘বন্দে মাতরম’-এর মাধ্যমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেশকে মাতৃরূপে পূজার সংস্কৃতির ধারা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

রাজ্যসভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কংগ্রেস ‘বন্দে মাতরম’-কে স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করেছিল। তিনি জানান, মহাত্মা গান্ধী ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করলে কংগ্রেসের লক্ষাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দে মাতরম ধ্বনি তুলে জেলে গিয়েছিলেন। শ্রী খাড়গে আরও বলেন, ১৮৯৬ সালে কলকাতায় কংগ্রে অধিবেশনে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বন্দে মাতরম গানটি পরিবেশন করার পর এ ভারতের জনজীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠে।