জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার পাদ্দার সাব ডিভিশনের একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে গতকাল মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে অনেক তীর্থযাত্রীসহ একাধিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ জনের অবস্থা গুরুতর । এখনও অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। ধ্বংসস্তূপ ও কাদার নিচে আরও অনেক লোক আটকে পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এসডিআরএফ, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা ইতিমধ্যেই উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
গতকাল দুপুর ১২.২৫ মিনিটে মাচাইল মাতা মন্দিরের পথে শেষ গ্রাম চাশোটিতে এই দুর্যোগ আঘাত হানে। ২৫ জুলাই শুরু হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল বার্ষিক মাচাইল মাতা যাত্রা। চাশোটি এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসিক বাড়ি, ছয়টি সরকারি ভবন, তিনটি মন্দির, চারটি জলকলের ঘর এবং ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতু বন্যায় ভেসে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় এক ডজনেরও বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ভেসে গেছে। বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে গেছে, যার ফলে মাচাইল এবং চাশোটি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ যতিন্দর সিং, জম্মু কাশ্মীরের উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী আজাদ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং প্রাণহানির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আজ মনোজ সিনহা এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে শ্রী মোদী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার জন্য কর্তৃপক্ষ জোর কদমে কাজ করছে।