ঘূর্ণিঝড় মান্থার প্রভাবে ওড়িশার ৩৩ টি ব্লক এবং ১১ টি শহরাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত। রাজ্য সরকার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৯ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য ৩৬২ টি বিনা মূল্যের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র খুলেছেন। আগামীকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, রাস্তা এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগুলির হিসাব করা হবে বলে জানা গেছে। ওড়িশার রাজস্ব ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পুজারী আজ ভুবনেশ্বরে সংবাদিকদের বলেন, ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ রিপোর্ট পাওয়ার পর সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেবে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মান্থার প্রভাবে গজপতি জেলায় ব্যাপক ভূমি ধসের ফলে গঞ্জম ও গজপতির মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করেছে।
অন্যদিকে, প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা অতি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অন্ধ্র উপকূল ও তেলেঙ্গানার উপর অবস্থান করছে। আজকের মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আরোও উত্তর- উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে।
এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি এবং হাওড়া জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।।
মৎস্যজীবীদের আগামীকাল পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে তিন নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে।