July 8, 2025 2:32 PM

printer

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গতকাল থেকেই দফায় দফায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সৃষ্ট নিম্নচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গতকাল থেকেই দফায় দফায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। একটানা বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়লেও এই বৃষ্টি আউস আমন চাষের পক্ষে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাসে প্রয়োজনীয় ২৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টির মধ্যেই এখনো পর্যন্ত ১১৭ মিলিমিটার হয়েছে। এবছর ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বীজতলা তৈরি হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় চাষীরা বৃষ্টির আগেই বীজতলা প্রস্তুত করেছিলেন, সেক্ষেত্রে খানিকটা ক্ষতি হতে পারে। যদিও তার পরিমাণ খুবই কম। এই বৃষ্টি পাট ও অন্যান্য মৌসুমী সব্জি চাষেও সহায়ক হবে।

লাগাতার বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদ জেলায় খরার মত পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। জেলার বহরমপুর, হরিহরপাড়া, বেলডাঙ্গা, ডোমকলের মত বিভিন্ন এলাকায় আনাজ চাষীদের সেচের খরচ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হাওড়া জেলাতেও ধান রোয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে। বৃষ্টির এই জল কাজে লাগবে বলে মনে করছে জেলা কৃষি দপ্তর। তবে বৃষ্টি চলতে থাকলে জমির লতানো পটল, শসা, করলা সহ অন্যান্য চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে ডিভিসি পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩০ হাজার এবং মাইথন জালাধার থেকে ১০ হাজার জল ছেড়েছে। নীচের অংশে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে আজ সকালে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। তবে এই জল ছাড়ার কারণে নিম্ন অববাহিকায় এখনও পর্যন্ত কোনো বন্যার সতর্কতা নেই বলে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ আকাশবাণীকে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, রাতভর বৃষ্টির জেরে বিধানসরণী, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, কলেজস্ট্রীট, এম জি রোড, ফিয়ার্সলেন, সহ শহরের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। দ্রুত জমা জল সরাতে কলকাতা পুরসভার সবকটি নিকাশি পাম্প চালু করা হয়েছে। আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লকগেটগুলি বন্ধ থাকবে।

প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ধীর গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে বলে পূর্ব রেল জানিয়েছে।

মৎস্যজীবীদের আজও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।