কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহের নেতৃত্বেই তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি অভিযোগ করেছেন। আজ সকালে বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে কোচবিহারে এক কর্মসূচীতে যোগ দিতে যান শ্রী অধিকারী। সে সময় গাড়ি খাগড়াবাড়ি ঢোকার পরই বিরোধী দলনেতার গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। বাঁশ দিয়ে মেরে গাড়ির পেছনের কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে বড়সড় বিপদ হতে পারতো বলে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ করেছেন। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শ্রী অধিকারী।
এই হামলার পরই সাংসদ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, শ্রী অধিকারীর যাত্রা পথে অন্তত ১৯ জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। গাড়িতে হামলা ছাড়াও পুলিশের উপস্হিতিতে দেখানো হয়, কালো পতাকা। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ ছাড়া এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না বলে সুকান্তবাবুর অভিযোগ।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য, বিরোধী দলনেতার ওপর এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, আদালতের নির্দেশের মান্যতা যে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে নেই, তা আজ আবার প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের নজরদারিতে শুভেন্দু অধিকারী কোচবিহার গেছেন এবং রাজ্য প্রশাসনকে আদালতের নির্দেশে তার সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হলেও কার্যত পুলিশের সামনেই রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী জামাতিরা বিরোধী দলনেতার গাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে।
এদিকে, বিরোধী দলনেতার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলার প্রতিবাদে আজ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে সামিল হন, বিজেপি নেতা কর্মীরা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, জয়পুর মোড়, বাগনান এবং হাওড়া ময়দান সহ একাধিক এলাকায় আজ বিকেলে পথ অবরোধ করা য়। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিজেপি-র প্রতিবাদ বিক্ষোভকে ঘিরে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অবরোধ করা হয় আসানসোল বিএনআর মোড়। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলে জানিয়ে উদয়ন গুহর গ্রেফতারের দাবি জানান। দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ ও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলাজুড়েও বিক্ষোভে সামিল হন দলীয় কর্মীরা। ঘেরাও করা হয় বারুইপুর থানা।
অন্যদিকে, মন্ত্রী উদয়ন গুহ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।