কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গনধর্ষনের ঘটনায় তদন্তের কাজে গতি আনতে বিশেষ তদন্ত কমিটি SIT-র সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে ৯ করা হয়েছে। গতকাল তিন অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার ডিএনএ স্যাম্পেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তিন আভিযুক্তের বাড়ি গিয়ে তল্লাশী চালায়,ও তাদর ঘটনার দিনের জামা কাপড় পরীক্ষার জন্য পুলিশ নিয়ে আসে। নির্যাতিতার ও জামাকাপড় নিয়ে আসে, পরীক্ষার জন্য। এছাড়া নির্যাতিতার বাবাও মাকে জিগ্যাসা বাদ করা হতে পারে। উল্লেৎখ্য গতকাল রাতে এই ঘটনার পুনরনির্মান করা হয়,নির্ডাতীতা কে নিয়ে। এদিকে, কলেজের মধ্যে ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ সেখানে পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই কলেজের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা নিয়ে আগেই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। কোনরকম গাফিলতি থাকলে তা খুঁজে বের করে কলেজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, ওই ঘটনার প্রতিবাদে দিকে দিকে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বিরোধী দল সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। গতকাল গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত গতকাল কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করে বিজেপি। হাতে মশাল নিয়ে মিছিলে হাঁটেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ দলের নেতা কর্মীরা। মিছিলের শেষে এক প্রতিবাদ সভায় শুভেন্দুবাবু জানান, আগামী দু তারিখ বিজেপি কসবা অভিযান করবে।
পাশাপাশি আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে শীঘ্রই সাক্ষাৎ করে ৯ই আগস্ট নবান্ন অভিযানের জন্য তিনি আবেদন জানাবেন বলেও শুভেন্দু বাবু জানিয়েছেন।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটিতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রী প্রধান বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত্যু এবং কসবা ল কলেজের ঘটনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত রয়েছে।
গনধর্ষনের প্রতিবাদে অভয়া মঞ্চের তরফে গতকাল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। বিভিন্ন গন সংগঠন গড়িয়াহাট থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে যাবার পথে পুলিশ লেক মলের সামনে মিছিল আটকে দেয়। মিছিলের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানায় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষন বচসার পর মিছিলে অংশগ্রহনকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন। ঘন্টা দুয়েক পর পুলিশ ব্যারিকেড খুলে দেয়।
অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কসবা ল কলেজের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয় নারী ঐক্য মঞ্চ।