কলকাতার জোকা IIM–এ তরুণীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত মূল অভিযুক্ত পরমানন্দ তোপওয়াকারকে আজ আলিপুর আদালতে তোলা হলে তাকে ১৯শে জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতরাতে পুলিশ, IIM ক্যাম্পাস থেকে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া পরমানন্দকে গ্রেফতার করে। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষী ও সিকিউরিটি ইনচার্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতসন্ধ্যায় পেশায় মনোবিদ ওই তরুণীকে কাউন্সেলিং-এর নাম করে কলেজ ক্যাম্পাসের বয়েজ হোস্টেলে ডেকে পাঠানো হয়। পরে মাদক মিশ্রিত পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় ওই তরুণীকে ভিজিটার্স বুকে সই করতে’ও দেওয়া হয়নি। সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে তরুণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত যুবক নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত। সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় হয় বলে জানা গেছে। পুলিশ বয়েজ হোস্টেলের ওই ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এদিকে, তরুণীর উপর কোনো নির্যাতন হয়নি বলে তাঁর বাবা দাবি করেছেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে কলকাতায় আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সত্যিই এধরণের ঘোতনা ঘটে থাকলে, তা’ অনভিপ্রেত ও দুর্ভাগ্যজনক।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আইআইএম জোকার ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তার কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন। শ্রী মজুমদার জানান, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাই পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ধর্ষন-খুনের মতো ঘটনা এখন এরাজ্যের নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।