বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন, ভোটারদের স্বস্তি দিয়ে জানিয়েছে, কোনো নথি না থাকলেও অনলাইন অথবা অফলাইনে নাম তোলার ফর্ম জমা দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট, ১১ ধরণের নথির কোনোটিই নেই এমন বহু ভোটারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই এনিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই ১১ ধরণের নথির মধ্যে পরিচয় পত্র, সরকারের জারি করা পেনশনের আদেশ, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট অথবা শিক্ষাগত শংসাপত্র রয়েছে। বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের জারি করা এক সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, যাঁদের এরকম কোনো নথি নেই তারাও বুথ স্তরীয় আধিকারিক বা বিএলও-র কাছে ফর্ম জমা দিতে পারবেন। পরে নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক-ইআরও, স্থানীয়ভাবে তদন্ত ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের সাহায্যে এইসব নথিপত্র যাচাই করবেন।
রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ২৪৩টি বিধানসভা খন্ডেই এই বিশেষ নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালেও এধরনের ভোটার তালিকা সংশোধণের কাজ হয়, যার ভিত্তিতে প্রকাশিত হয় ভোটার তালিকা। ২০০৩-এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত চার কোটি ৯৬ লক্ষেরও বেশি ভোটারকে বর্তমান সংশোধনীর সময় কোনোরকম নথি পেশ করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনীর তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ কোটি ৮০লক্ষেরও বেশি।
তবে যাঁদের কাছে এই ১১ ধরণের নথির কোনো একটি রয়েছে তাদের কমিশন, তা পেশ করতে অনুরোধ করেছে। আরজেডি, কংগ্রেস ও বাম দলগুলির মতো বিরোধীরা এই বিশেষ সংশোধন অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করেছে।
অন্যদিকে, বিজেপি, জেডিইউ সহ শাসক জোট একে সমর্থন করছে। এই ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৬ শে জুলাই। ২৫শে জুন থেকে এপর্যন্ত এক কোটি ৬৯ লক্ষেরও বেশি নাম তোলার ফর্ম জমা পড়েছে।