কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় তথা শেষ পর্যায়ে, ২০ টি জেলার ১২২ টি আসনে বেলা ১১’টা পর্যন্ত ৩১ দশমিক ৩/৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। সব থেকে বেশী প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে কিষাণগঞ্জে। সন্ধ্যে ৬’টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। তবে, নিরাপত্তার কারণে এক হাজার ২০২ টি কেন্দ্রে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে। এই দফায় ৩’কোটি ৭০ লক্ষের’ও বেশী ভোট দাতা, ১৩৬ জন মহিলা সহ এক হাজার ৩০২ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ভোটদাতাদের স্বতস্ফুর্তভাবে এগিয়ে আশার আহ্বান জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমের এক বার্তায় শ্রী মোদী, তরুণ ভোটার, যারা প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের সক্রিয় অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে নেপাল সংলগ্ন সীমান্ত এবং উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জয়নগর, মধুবনী এবং নেপালের জনকপুরের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির জন্য পাটনার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ২০টি জেলা সদর দপ্তরেও একই রকম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। ৫৯৫টি ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে মহিলা ভোটদান কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং বিশেষভাবে সক্ষম কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত ২১টি প্রতিবন্ধী ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিহারে প্রথম পর্বের নির্বাচন চলতি মাসের ৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে ৬৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ রেকর্ড করা হয়েছে।
৭টি রাজ্যের আটটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে। এই আসনগুলি হল জম্মু ও কাশ্মীরের বাদগাম এবং নাগরোটা, রাজস্থানের আন্টা, ঝাড়খণ্ডের ঘাটসিলা, তেলেঙ্গানার জুবিলি হিলস, পাঞ্জাবের তরন তারান, মিজোরামের ডাম্পা এবং ওড়িশার নুয়াপাড়া। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গেই ভোট গণনা করা হবে ১৪ নভেম্বর।