ওয়াকফ সংশোধন সংক্রান্ত দুটি বিল, লোকসভায় বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য আজ পেশ করা হয়েছে।
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু আজ সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পেশ করেন। সভায় উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কমপক্ষে আট ঘন্টা ধরে এই বিল নিয়ে সভায় আলোচনা হবে।
বিজেপি, আজ লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সব সাংসদদের হুইপ জারি করেছে। NDA-র শরিক JD(U) এবং তেলুগু দেশম পার্টি’ও, সাংসদদের সভায় উপস্থিত থেকে সরকারকে সমর্থন করার জন্যে হুইপ জারি করেছে। কংগ্রেসও তাদের সব সাংসদকে আজ লোকসভায় উপস্হিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে।
বিল পেশের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সংসদের সম্মতি নিয়ে বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটি JPC-তে পাঠানো হয়েছিল। বিরোধী দলের পরামর্শ অনুযায়ী এই JPC গঠন করা হয়। সেখানে ওয়াকফ বিলের প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডারের কোনো প্রশ্নই নেই বলে মত ব্যক্ত করেন তিনি। শ্রী শাহ্ বলেন, JPC-র পক্ষ থেকে এই বিলে যে সংশোধন করা হয়েছে, মন্ত্রিসভা তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে।
যৌথ সংসদীয় কমিটি নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছেন, তা’ খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, JPC-তে এই ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, তা’ ঐতিহাসিক। সংশোধনের পর বিরোধীরাও মন থেকে এই বিলকে সমর্থন জানাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
একই মত প্রকাশ করে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিমন্ত্রী B L ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ –এর লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, কংগ্রেস সহ সব বিরোধীরা আজ একযোগে ওয়াকফ সংশোধনী বিল-এর বিরোধিতা করছেন।
কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়াড়ি সকালে সাংবাদিকদের বলেন, এই সংশোধনী ভারতীয় সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী। বিরোধীরা JPC-তে যে সংশোধন করার কথা বলেছিল, তার একটিও সরকার মানেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন, রেল এবং প্রতিরক্ষার জন্য গৃহীত জমিগুলির মতোই সরকার এই বিল পাশ করিয়ে ওয়াকফ জমি বিক্রি করতে চায়।
CPIM সাংসদ জন ব্রিটাস বলেন, সমাজে মেরুকরণ সৃষ্টি করতেই এই বিল আনা হয়েছে।