এবছরের মাধ্যমিকে পাসের হার ৮৬.৫৬%। গতবারের তুলনায় এই হার সামান্য বেড়েছে। আজ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো ফল করেছে। এবার ৭০ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ হলো। পাশের হারের দিক থেকে প্রথমে রয়েছে -পূর্ব মেদিনীপুর। তারপর কালিম্পং এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থান চতুর্থ।
মেধা তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে আছে ৬৬জন। এর মধ্যে ৬৯৬ নম্বর পেয়ে রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের আদৃত সরকার প্রথম হয়েছে। ৬৯৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দুজন – মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের অনুভব বিশ্বাস এবং বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের সৌম্য পাল। তৃতীয় স্থানাধাকারী বাঁকুড়ার কোতুলপুর হাইস্কুলের ছাত্রী ঈশানী চক্রবর্তীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। সেই মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম। চতুর্থ স্হানাধিকারী দুজন- পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম ও পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতীক মান্না – এরা পেয়েছে ৬৯২ নম্বর করে। পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে চারজন। এদের মধ্যে সিঞ্চন নন্দী, চৌধুরী মহম্মদ আসিফ এবং দীপ্তজিৎ ঘোষ হুগলীর পড়ুয়া, অপরজন সোমতীর্থ করণ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র।
প্রথম স্থানাধিকারী আদৃত তাঁর এই এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত হলেও তা অপ্রত্যাশিত ছিল বলে জানিয়েছে। সাফল্যের জন্য শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের অবদানের কথা জানিয়েছে আদৃত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক্সহ্যান্ডেলের এক বার্তায় তিনি পড়ুয়াদের সাফল্য কামনা করেন। একই সঙ্গে মা-বাবা, পরিবার-পরিজন এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনন্দন জানান তিনি।
দ্বিতীয় স্থানাধিকারি মালদার অনুভব বিশ্বাসকে আজ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে, অষ্টমস্হানে থাকা সৃজন প্রামাণিককে ফোন করে অভিনন্দন জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।