December 31, 2025 10:45 PM

printer

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং যাত্রী – কেন্দ্রিক পদক্ষেপ নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন সময়সূচী চালু করতে চলেছে যা আগামীকাল পয়লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং যাত্রী – কেন্দ্রিক পদক্ষেপ নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নতুন সময়সূচী চালু করতে চলেছে যা আগামীকাল পয়লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং অন্যান্য অঞ্চলে রেল সংযোগকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যাত্রী-কেন্দ্রিক এবং কার্যকারিতার দিক থেকে উন্নতভাবে তৈরি করা হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচী।
নতুন সময়সূচীর অংশ হিসেবে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২০২৫ সালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে চালু করা করা ২০টি নতুন ট্রেন পরিষেবাকে নিয়মিত করেছে। এই পরিষেবাগুলির মধ্যে মেল/এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে যা গুয়াহাটি, সাইরাং, ডিব্রুগড়, আগরতলা, নর্থ লখিমপুর, কাটিহার, যোগবানী, আনন্দ বিহার এবং দেশের আরও বেশ কয়েকটি প্রধান স্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যগুলোকে সংযুক্ত করে।
যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে, কিছু বিদ্যমান ট্রেন পরিষেবার ফ্রিকুয়েন্সিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে ট্রেন গুলি আগে সপ্তাহে মাত্র দুই দিন চলত, সেগুলিকে এখন সপ্তাহে ছয় দিন চালানোর জন্য আপগ্রেড করা হয়েছে। এই উন্নয়নের ফলে বরাক উপত্যকা অঞ্চলের প্রতিদিনের যাত্রীরা এবং সাধারণ জনগণ আরও নমনীয় ও নির্ভরযোগ্য ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন সময়সূচীতে ভ্রমণের ব্যস্ততম সময়ে চলাচলকারী স্পেশাল ট্রেনগুলিকেও আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোট ১২ জোড়া স্পেশাল ট্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার রুটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা উৎসব, ছুটি এবং হাই-ডিমান্ডের সময়ে সিজনাল ভিড় সামলানোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। নতুন সময়সূচীর একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বিদ্যমান ট্রেনগুলির জন্য বিপুল সংখ্যক নতুন স্টপেজের ব্যবস্থা করা। অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং সংলগ্ন এলাকার স্টেশনগুলিতে ১৭০টিরও অধিক নতুন স্টপেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই নতুন স্টেপেজগুলি সেমি-আরবান ও গ্রামীণ এলাকার যাত্রীদের জন্য রেল পরিষেবা আরও সহজলভ্য করে তুলবে, রেল পরিবহনে অ্যাক্সেস উন্নত করবে এবং নির্দিষ্ট ট্রেনে ওঠার জন্য প্রধান স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সড়ক ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করবে।
আধুনিকীকরণ এবং শক্তি সাশ্রয়ের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ব্যাপক পরিসরে ট্র্যাকশন চেঞ্জিং পয়েন্টগুলি স্থানান্তরের কাজও সম্পন্ন করেছে, যার ফলে অনেক ট্রেন এন্ড-টু-এন্ড ইলেক্ট্রিক ট্র্যাকশনে চলাচল করতে পারছে। এই পদক্ষেপের ফলে ট্রেন চলাচল আরও সুগম হবে, ডিজেল লোকোমোটিভের উপর নির্ভরতা কমবে, কার্বন নির্গমন হ্রাস পাবে এবং সময়ানুবর্তিতা উন্নত হবে।

ট্রেনের সূচনা, অন্তর্ভুক্তি, ফ্রিকুয়েন্সি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত স্টপেজ, বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনের সম্প্রসারণ এবং স্পেশাল ট সুরক্ষিত, দক্ষ, পরিবেশবান্ধব এবং যাত্রী-কেন্দ্রিক রেল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অঙ্গীকারকে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি পঠিত
সব দেখুন arrow-right

কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।