ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশে আজ নতুন করে অস্থিরতা তৈরী হয়েছে। ধানমন্ডি এলাকার বাঙালির সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর প্রাঙ্গন জুড়ে ভাঙচুর চলে। বিক্ষিপ্তভাবে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয় একদল ব্যক্তি ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে জোর করে ভবনে ঢুকে আসবাবপত্র এবং সংগীতের সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে দমকলের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের মুখ ঢাকা ছিল বলে, তাদের পরিচয় জানা যায়নি। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী এবং পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ছায়ানট’ সেদেশের সংগীত এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে আসছে। এই ঘটনা সেদেশে চলতে থাকা অস্থিরতায় সাংস্কৃতিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরী করেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা শহরে মুখোশধারী হামলাকারীরা তাকে গুলি করে। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই গতকাল তিনি মারা যান। হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েক শো সমর্থক রাজধানীতে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। তাঁরা দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর কার্যালয় ভাঙচুর করে, আগুন লাগানো হয় একটি ভবনে । পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন করা হয়, দমকলকর্মীরা ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে, যা কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।