ইজরায়েলী হামালার পাল্টা জবাবে ইরান গতরাতে ইজরায়েলী শহরগুলি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোণ নিক্ষেপ করে। তেহেরানের পক্ষ থেকে এর নাম দেওয়া হয়েছে “Operation Severe Punishment.” বা চরম শাস্তিমূলক অভিযান।
ইজরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আভিভে বিস্তীর্ণ এলাকায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পরপর বিস্ফোরণে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। অভিযানের সময় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তেল আভিভ ও জেরুজালেমে লক্ষ লক্ষ নাগরিক সাইরেনের আওয়াজ শুনে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। ইজরায়েলের অসামরিক চিকিৎসকেরা ধ্বংসস্তুপ থেকে গুরুতর আহত পাঁচজনকে উদ্ধার ও তাদের চিকিৎসা করেছে। আরও ৪০ জনের চিকিৎসা চলেছে বিভিন্ন ইজরায়েলী হাসপাতালে।
এই প্রথম তেল আভিভের কেন্দ্রস্হলে ইরানের সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ছবি লাইভ ভিডিও কভারেজে দেখা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাবে তচনছ্ হয়ে যায় ইজরায়েলের প্রতিরোধ ব্যবস্হা। Ben Gurion বিমানবন্দর অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা দেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইরানের সরকারী সংবাদ সংস্হা জানিয়েছে, ইজরায়েল, তাদের Natanz পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস এবং ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের হত্যা করার পরই পাল্টা ব্যবস্হা হিসেবে তেহরান এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেই তার আগে ঘোষণা করেন, ইজরায়েল যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছে এবং তার পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দেন। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ইজরায়েলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চরম প্রত্যাঘাতের সূচনা হিসেবে অবিহিত করেছে ইরানের সরকারী সংবাদ মাধ্যম। সেদেশের রেভলিউশনারী গার্ড-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানী বাহিনী যেকোন রকম সামরিক অভিযানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
এদিকে, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী Israel Katz, ইরানের বিরুদ্ধে জনবহুল অসামরিক এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো এবং চরম বিপদসীমা অতিক্রম করার অভিযোগ এনেছেন। ইজরায়েলও এই হামলার যোগ্য প্রত্যুত্তর দেবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান তার পাল্টা জবাবে সেদেশের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।