আর জি কর হাসপাতালে তরুণী পিজিটি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বর্ষ পূর্তিতে ফের একবার সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ও তদন্তকারী সংস্হার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। অভয়ার মা-বাবা আজ ডাক দিয়েছেন নবান্ন অভিযানের। এই অভিযানকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে। নবান্নমুখী হাওড়া ও কলকাতার একাধিক রাস্তায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মিছিল আটকাতে মোতায়েন রয়েছে। খিদিরপুর রোড, রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ, হাওড়ার ফোরশোর রোড, কাজীপাড়া, মন্দিরতলা এবং হাওড়া ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে বসানো হয়েছে দু মানুষ সমান লোহার ব্যারিকেড। ড্রিলিং মেশিনের সাহায্যে তা পাকাপোক্ত করতে রাস্তায় গেঁথে দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তুত আছে জল কামান, ড্রোণের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। সর্বত্র নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিজেপি এই অভিযানে দলীয় পতাকা ছাড়াই অংশ নেবে। চিকিৎসক হত্যার এক বছর পূর্তিতে অভয়া মঞ্চ আজ কালীঘাট চলোর ডাক দিয়েছে। বিকেল চারটেয় কলকাতার হাজরা মোড়ে জমায়েতের পর কালীঘাট অভিমুখে রওনা দেবেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, আজকের নবান্ন অভিযানে যাতে কোনভাবেই রাজনৈতিক রং না লাগে সেজন্য আবেদন জানিয়েছেন, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, অভয়ার হত্যা একটি প্রাতিষ্ঠানিক হত্যার সামিল। এর আগেও কয়েকজন চিকিৎসকের ওই হাসপাতালে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তদন্তের শ্লথগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঘটনার প্রমাণ লোপাট করে দিয়েই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও এই ঘটনাকে সংগঠিত অপরাধ বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়ার্স ডক্টর্স ফ্রন্ট গতরাতে কলেজ স্কোয়ার থেকে শ্যামবাজার পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে। রাতভর সেখানেই চলে প্রতিবাদ কর্মসূচী। সেখানে যোগ দেন অভয়ার মা-বাবা। রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তারা বলেন, এই ঘটনার প্রকৃত দোষী এখনও জেলের বাইরে। মেয়ের হত্যার ন্যায় বিচার কেউ-ই তাদের দিতে পারেনি বলেও চিকিৎসকের মা-বাবা জানান।