রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘ চালক ডক্টর মোহন ভাগবত বলেছেন, আত্মনির্ভর অর্থাৎ স্বনির্ভরতা অর্জন-এর অর্থ হলো- অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে, বিশ্বব্যাপী ঐক্যের প্রতি সচেতন থেকে নিজেদের ইচ্ছানুসারে কাজ করে যাওয়া নিশ্চিত করা।
আজ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে শতবর্ষ উদ্যাপন এবং বিজয়া দশমীর উৎসবে নিজের বক্তব্যে শ্রী ভাগবত বলেন, স্বদেশী এবং স্বাবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কগুলিকেও অটুট রাখতে হবে, কারণ কোনো দেশই একাকী চলতে পারেনা। দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরতা স্থায়ী। ডক্টর ভাগবত আরো বলেন যে, পহেলগাঁও হামলার পরবর্তী সময়ে আমরা দেশের নেতৃবৃন্দের দৃঢ়তা, সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব এবং যুদ্ধ প্রস্তুতি আর সমাজে দৃঢ় সংকল্প ও একতার ছবি দেখেছি।
শতবর্ষ পূর্তিতে সংঘ, ব্যক্তি নির্মাণের কাজকে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া এবং পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচী বিস্তারের ওপর জোর দেবে। সামাজিক আচরণে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনার দিকে লক্ষ্য রেখে স্বয়ং সেবকদের কাজ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, নাগপুরের সঙ্গে যুক্ত দুজন চিকিৎসক, তাঁর জীবনচর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। একজন হলেন ডক্টর কেশব বলিরাম হেডগাওয়ার এবং অন্যজন ডক্টর ভীমরাও রামজী আম্বেদকর। দেশ বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে এদিনের অনুষ্ঠানে রুট মার্চ, শস্ত্র পূজা এবং শারীরিক কসরৎ প্রদর্শন করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বৌদ্ধ আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামার অভিনন্দন বার্তাও অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়।