আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবী পক্ষের সূচনা হতে চলেছে। মহালয়ার পুণ্য দিনে আজ সকাল থেকেই গঙ্গা সহ বিভিন্ন নদ নদী ও জলাশয়ে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে জল দান বা তর্পণ সম্পন্ন হচ্ছে। কলকাতার জাজেস ঘাট, বাবুঘাট, বাগবাজার ঘাট সহ কলকাতার সমস্ত গঙ্গার ঘাট গুলিতে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ সম্পন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের জেলাগুলিতে বিভিন্ন নদনদী ও জলাশয়ে সকাল থেকেই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ সম্পন্ন হচ্ছে। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়ার ঐতিহ্যবাহী রামকৃষ্ণপুর ঘাট সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে সকাল থেকে মহালয়ার পুন্য দিনে সম্পন্ন হচ্ছে তর্পণ।
বর্ধমানের কাটোয়া, কালনার ভাগীরথী-দামোদরের ঘাটগুলিতে বহু মানুষের তর্পণের খবর পাওয়া গেছে। ডিভিসি জল ছাড়ায় দামোদরের জলস্তর বাড়ায় তর্ফনের সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
বাঁকুড়া জেলার দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শালী, দামোদর সহ বিভিন্ন নদ নদীতে আজ ভোর থেকে বহু মানুষ তর্পণ করেছেন।
নদীয়ার নবদ্বীপের বিভিন্ন ঘাটে সকাল থেকেই পিতৃতর্পণ চলছে। শান্তিপুরেও গঙ্গার ঘাটে তর্পণে অংশ নেন।
জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদী সহ শহরের রাজবাড়ি দিঘিতে বহু মানুষ তর্পণ করেছেন। জেলার ময়নাগুড়ির জর্দা নদীর ঘাটে ঘাটে বহু মানুষ তর্পণ করেন।
এদিকে, দেবীপক্ষের সূচনা লগ্নে আজই প্রতিমার চক্ষুদানের কাজ শুরু করতে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা।