May 17, 2025 11:39 AM

printer

অবিলম্বে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিধাননগরে বিকাশভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবস্হান বিক্ষোভ চলছে ।

অবিলম্বে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদে বিধাননগরে বিকাশভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবস্হান বিক্ষোভ চলছে । কালো ব্যাজ পরে তারা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।

      চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে একগুচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচি ঠিক করেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের তরফে চিন্ময় মন্ডল জানান, আজ বিকেলে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে আসবে। করুণাময়ী থেকে মিছিল করে ছাত্রছাত্রীরা বিকাশ ভবনে শিক্ষকদের অবস্থান মঞ্চে যাবে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁরা ক্লাস নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

      বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গতরাতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আন্দোলনরতদের ওপর পুলিশের লাঠিচালনার নিন্দা করে তিনি বলেন, এই আচরণ বর্বোরচিত ও অমানবিক। শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড, তাদের সঙ্গে এধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।

      এদিকে, কয়েক হাজার চাকরিহারা শিক্ষক – শিক্ষিকা গতকাল ধিক্কার দিবস পালন করেন।

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষও সামিল হন এই কর্মসূচীতে।

যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে তাদের কর্মসূচীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে দেওয়া হবে না।

      অন্যদিকে, মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির উদ্যোগে গতকাল কলকাতার এস এস সি অফিস – আচার্য সদনের সামনে থেকে বিকাশভবন পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল বের করা হয়।

      আর এস পি-র ছাত্র-যুব-মহিলা শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন মৌলালী মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা করে।

           এদিকে, পুলিশ বলেছে, পরিস্হিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।

এ ডি জি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার গতকাল জাভেদ শামিমের সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, পুলিশ প্রথমে সংযতই ছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বিকাশভবনে থাকা কর্মী, আধিকারিক এবং অন্যদের বেরোতে বাধা দিলে তাদের উদ্যোগ নিতে হয়। সেময়ই চাকরিহারারা পুলিশের ওপর চড়াও হন বলে তাঁর অভিযোগ।

      উল্লেখ্য, বিকাশ ভবন ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে টানা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি হারানো শিক্ষক শিক্ষিকারা।