যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঘরোয়া পরিকাঠামোর প্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন আজ সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন NDRF-এর মহানির্দেশক।
রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব রাজেশ সিনহা, ডিজি-সিভিল ডিফেন্স জগমোহন। এই বৈঠকে বলা হয়েছে, কোনভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে উদ্ধারকাজ বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে রাজ্যকে। এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মকড্রিলের সঙ্গে সরাসরি সাধারণ মানুষের কোনো যোগ নেই। তবে, অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নি নির্বাপন, উদ্ধার কাজ, হাসপাতাল ইত্যাদি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্তদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার এরাজ্যের ১৭টি জেলাকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। তবে কোথায় মকড্রিল করতে হবে, সেব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। দ্রুত প্রত্যেক জেলা ধরে ধরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে, যেগুলি সারাক্ষণ সক্রিয় থাকবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে ৯২টি সাইরেন, ৬২টি স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে, যেগুলি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজে লাগবে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নাগরিক নিরাপত্তা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দেশজুড়ে আগামী সাত দিন রাজ্যসহ দেশের ২৫৯টি জায়গায় মক ড্রিলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।